প্রথমবারের মতো দেশের বাইরে আফগানিস্তানের বিপক্ষে দ্বিপাক্ষিক সিরিজ খেলতে যাচ্ছে বাংলাদেশ ক্রিকেট দল। নিরপেক্ষ ভেন্যুতে আফগানদের বিপক্ষে ওয়ানডেতে টাইগারদের অতীত রেকর্ড অনেককেই ইতিবাচক করবে। তবে এবারের সিরিজের ভেন্যু শারজায়, যেখানে আফগানিস্তান এক কথায় অপ্রতিরোধ্য। সম্প্রতি সেখানে তারা ওয়ানডে সিরিজে হারিয়েছে দক্ষিণ আফ্রিকাকে। গেল সাত বছর শারজায় খেলা কোনো সিরিজ হারেনি রশিদ খানরা। বাংলাদেশ-আফগানিস্তান প্রথম ওয়ানডে দিয়েই, বিশ্বের প্রথম ভেন্যু হিসেবে ৩০০তম আন্তর্জাতিক ম্যাচ আয়োজনের মাইলফলক স্পর্শ করবে শারজাহ।
শারজাহ ক্রিকেট গ্রাউন্ড। ৯০ দশকে ক্রিকেটের অন্যতম জনপ্রিয় ক্রিকেট ভেন্যু। ভারত-পাকিস্তানের অজস্র ক্লাসিক ম্যাচের সাক্ষী হয়েছে এই শারজাহ। একাধিক বিশ্বকাপেরও আয়োজক হয়েছে সংযুক্ত আরব আমিরাতের প্রথম ক্রিকেট স্টেডিয়াম। এবার ইতিহাসের দ্বারপ্রান্তে শারজাহ ক্রিকেট স্টেডিয়াম। বিশ্বের অন্যতম পুরনো ও ঐতিহাসিক এই ভেন্যু বর্তমানে আফগানিস্তান ব্যবহার করছে তাদের হোম গ্রাউন্ড হিসেবে। নিজেদের দ্বিপাক্ষিক সিরিজের ম্যাচগুলো তারা খেলছে শারজায়। বাংলাদেশের বিপক্ষে তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজের ভেন্যুও ক্রিকেটের আইকনিক এই স্টেডিয়াম।
আগের জৌলুস আর সুখ্যাতি না থাকলেও, বাংলাদেশ-আফগানিস্তান প্রথম ওয়ানডে দিয়েই বিরল এক রেকর্ড গড়তে যাচ্ছে শারজাহ ক্রিকেট গ্রাউন্ড। বিশ্বের প্রথম ভেন্যু হিসেবে এ মাঠে অনুষ্ঠিত হবে ৩০০তম আন্তর্জাতিক ম্যাচ। সিডনি ক্রিকেট গ্রাউন্ডও ৩০০'র মাইলফলক স্পর্শের খুব কাছেই আছে। তবে শারজার নামটা লিখা থাকবে সবার প্রথমে।১৯৮৪ সালে প্রথম আন্তর্জাতিক ম্যাচ অনুষ্ঠিত হয় শারজায়। এর ছ'বছর পর, ১৯৯০ সালে এশিয়া কাপ দিয়ে এ মাঠে অভিষেক হয় বাংলাদেশের। এরপর শারজায় আরও ৪টি ওয়ানডে খেলেছে লাল সবুজ। কিন্তু এ ৫ ম্যাচের একটিতেও জয়ের স্মৃতি নেই বাংলাদেশের। ২৯ বছর পর বাংলাদেশ ওয়ানডে খেলতে নামছে।
আফগানিস্তানের বিপক্ষে দেশের বাইরে ওয়ানডেতে বাংলাদেশের রেকর্ড বেশ সমৃদ্ধ হলেও, খেলাটা শারজাহতে বলেই কিছুটা চিন্তা করতেই হচ্ছে। কারণ এ মাঠে খেলা ৫ ওয়ানডেতে কখনোই দলীয় ২০০ রানের কোটা পার করতে পারেনি লাল-সবুজ।আফগানিস্তান বেশ লম্বা সময় ধরেই শারজায় ক্রিকেট খেলে আসছে। স্বাভাবিকভাবেই এ মাঠ সম্পর্কে তাদের ভালো ধারণা হয়ে গেছে। যার সুফলও তারা পাচ্ছে। সম্প্রতি দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে আফগানিস্তান প্রথম দ্বিপাক্ষিক সিরিজ জিতেছে এ মাঠেই। অতীতে হারিয়েছে জিম্বাবুয়ে-আয়ারল্যান্ডকেও। ২০১৭ সালের পর শারজায় খেলা কোনো সিরিজ হারেনি রশিদ খানরা। গেল দেড় দশকে আফগানরা মোট ৫৩টি আন্তর্জাতিক ম্যাচ খেলেছে শারজায়। যার ৬৬ শতাংশ ম্যাচেই জয়ী হয়েছে গেল টি-২০ বিশ্বকাপের সেমিফাইনালিস্টরা।
নিউজটি আপডেট করেছেন : Voice Protidin Desk